Insulin

 ইনসুলিন সম্পর্কে সাধারন তথ্যঃ

যখন আমরা খাবার থাই তখন এই খাবারগুলো আমাদের পরিপাকতন্ত্রে বিভিন্ন প্রক্রিয়ায় চূর্ণ বিচূর্ণ হয়ে ক্ষুদ্র থেকে ক্ষুদ্রতর হতে থাকে। পরিশেষে আমাদের ক্ষুদ্রান্ত দিয়ে বেশিরভাগ খাবার শোষিত হয়। খাবার প্রধানত তিন প্রকার খাদ্য উপাদান দিয়ে তৈরি, এদেরকে সামগ্রিকভাবে বলে ম্যাক্রোনিউট্রিয়েন্ট। এর হচ্ছে প্রোটিন, ফ্যাট এবং কার্বোহাইড্রেট।
প্রোটিন বা আমিষ ভেঙ্গে তৈরি হয় অ্যামোইনো এসিড। ফ্যাট ভেঙ্গে হয় ফ্যাটি এসিড এবং কার্বোহাইড্রেট ভেঙ্গে হয় গ্লুকোজ।
কোষের প্রাচিরে থাকা বিভিন্ন চ্যানেল খুলে দিয়ে ইনসুলিন হরমোন কোষের ভিতর গ্লুকোজ অনুকে প্রবেশ করাতে সাহায্য করে।
এই ইনসুলিন কোষ প্রাচিরে থাকা রিস্পেটর এর সাথে প্রথমে যুক্ত হয়, যেমনিভাবে একটি তালার ভিতরে চাবি ঢুকে যায়। এখানে তালাটি হচ্ছে কোষ প্রাচিরে থাকা রিস্পেটর এবং ইনসুলিন হচ্ছে চাবি। কোষ প্রাচিরে থাকা রিসেপ্টর নামক তালার সাথে সঠিক চাবি নামক হরমোনটি যখনই উপযুক্তভাবে সংযুক্ত হতে পারবে তখনই হরমোনের মাধ্যমে রাসায়নিক বার্তা কোষের ভিতরে পৌঁছাতে পারবে। যখন ইনসুলিন হরমোন তার রিস্পেটরের সাথে সঠিকভাবে সংযুক্ত হয় তখনই কোষ প্রাচিরে থাকা গ্লুকোজের দরজা বা চ্যানেল খুলে যায়।
এই চ্যানেল দিয়ে তখন গ্লুকোজ কোষে প্রবেশ করে। প্রত্যেকটি কোষ গ্লুকোজ ব্যবহার করে শক্তি তৈরি করতে পারে। ইনসুলিন ছাড়া গ্লুকোজ কোষের ভিতরে প্রবেশ করতে পারে না।
May be an image of 1 person and text that says 'Insulin'
See insights
Boost a post
All reactions:
1

মন্তব্যসমূহ